মেয়েদের অর্গাজম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন।
অর্গাজম হয় যখন একজন মানুষ যৌন উত্তেজনার শীর্ষে পৌঁছায়। এর ফলে জননেন্দ্রিয়ে পেশীর সংকোচন এবং এক ধরণের সুখানুভবের সৃষ্টি হয়। কারো কারো ক্ষেত্রে এটা ইজাকিউলেট করার সময় হয়ে থাকে; তবে ভ্যাজাইনাল অর্গাজমও হয়। এন্ড ইট'স awesome!
অর্গাজম কী: অর্গাজম এক ধরণের শারীরিক অভিব্যক্তি যেটা সাধারণত ক্লিটরিসে স্টিমিউলেশনের ফলে হয়ে থাকে। যৌন উত্তেজনার সময়ে জেনিটালস/ জননেন্দ্রিয়ের দিকে ব্লাড ফ্লো বেড়ে যায় এবং বডির মাসলগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে। অর্গাজমের সময় এন্ডোরফিন নামক এক ধরণের হরমোন নিসৃত হয়। এই কেমিক্যালগুলো আপনাকে সুখী অনুভব করাবে, একই সাথে ক্লান্তি এবং ঝিমুনির মতো অনুভব করতে পারেন। অর্গাজম প্রসেস ব্যক্তিভেদে বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। তবে বেসিক কিছু শারীরিক পরিবর্তন শনাক্ত করা হয়েছে যেটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে। চলুন ফিমেইল অর্গাজমের চারটি ধাপ সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক-
এক্সাইসেটমেন্ট: অর্গাজমের প্রথম ধাপ হচ্ছে উত্তেজনা/ এক্সাইটমেন্ট। একজন মেয়ে যখন শারীরিক অথবা মানসিকভাবে উত্তেজিত হয়, জেনিটালস/ জননেন্দ্রিয়ের ব্লাড ভেসেলগুলো প্রসারিত হয়। ব্লাড সাপ্লাই বেড়ে যাওয়ার কারণে ভ্যাজাইনা স্ফীত হয়ে যায় এবং ভ্যাজাইনাল ওয়ালগুলো থেকে লিকুয়িড বের হয়। এসময় হৃদকম্পন এবং শ্বাসপ্রশ্বাস দ্রুত হয় এবং ব্লাড প্রেসার বেড়ে যায়। তাছাড়াও ব্লাড ভেসেলস প্রসারিত হয়ে যাওয়াতে মেয়েদের নেক এবং চেস্টাল এরিয়া পিংক/ লাল বর্ন ধারণ করতে পারে।
Plateau : দ্বিতীয় ধাপে হচ্ছে plateau। যেহেতু ব্লাড ভ্যাজাইনার দিকে প্রবাহিত হয়, এটা দৃঢ় হয়। এসময় ব্রেস্টের সাইজ ২৫% পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
অর্গাজম: এই ধাপে এসে ইউটেরাসসহ ভ্যাজাইনাল মাসলগুলোতে ০.৮ সেকেন্ড পরপর এক ধরনের রিদমিক কনট্রাকশন হয়। ফিমেইল অর্গাজম সাধারণত মেইলদের চেয়ে ১৩-৫১ সেকেন্ড বেশি স্থায়িত্বের হয়ে থাকে।একই সময়ে পুনরায় স্টিমিউলেট করলে আবারও অর্গাজম পাওয়া পারে যেটা পুরুষদের বেলায় হয় না।
রেজুলেশন: চতুর্থ ধাপে এসে শরীর ঘামে এবং পালস, শ্বাসপ্রশ্বাস কমে যাওয়ার মাধ্যমে শরীর পূর্বাবস্থায় ফিরে যায়।
স্টিমিউলেশন অনেক ধরণের হওয়াতে অর্গাজমও বিভিন্ন উপায়ে পাওয়া যায়। মেয়েদের শারীরিক গঠনটাই এরকম যেখানে তারা বিভিন্ন উপায়ে অর্গাজমের অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারে। কিছু গবেষকদের মতে, বারো ধরণের ফিমেইল অর্গাজম রয়েছে। এদের মধ্যে সবচে' কমন হচ্ছে ক্লিটোরাল অর্গাজম।
ক্লিটোরাল স্টিমিউলেশন: অর্গাজম পাওয়ার সহজতম উপায় হচ্ছে ক্লিটোরাল স্টিমিউলেশন। ক্লিটোরাল স্টিমিউলেশন অনেকটাই পুরুষদের মতো যেখানে ইরেকটাইল (erectile)টিস্যু থাকে, লিকুয়িড নিঃসৃত হয়। এবং একবারের নিঃসৃত হয়ে গেলে আর কন্টিনিউ করা যায় না।
ভ্যাজাইনাল স্টিমিউলেশন, জি-স্পট এবং ইনটেন্স সেক্সুয়াল প্লেজার: কেউ কেউ ভ্যাজাইনাল স্টিমিউলেশনের মাধ্যেমেও অর্গাজম পেয়ে থাকেন যেখানে জি-স্পটের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জি-স্পট হচ্ছে ভ্যাজাইনাল ওপেনিং এর এক দেড় ইঞ্চি পেছনে এবং উপরের দিকে একটা সেনসিটিভ এরিয়া। কিছু গবেষক মনে করেন জি-স্পটে স্টিমিউলেশন তীব্র যৌন সুখানুভূতির সৃষ্টি করে থাকে।
সেন্সরি প্যাথওয়েস, স্টিমিউলেশন এন্ড অর্গাজম জেনারেশন : মেয়েরা ব্রেস্ট অথবা শরীরের অন্যান্য কিছু অংশে স্টিমিউলেশনের মাধ্যমে অর্গাজম পেতে পারে। এমনকি কোনো প্রকার স্পর্শ ছাড়াই শুধু সেক্সুয়াল ইমেজারি ব্যবহার করেও অর্গাজম পাওয়া যায়। তাছাড়া সেনসেশন সরাসরি ব্রেইনে ট্রান্সমিট করারও মাধ্যমেও অর্গাজম পাওয়া যায় যেখানে বিভিন্ন কিছু স্নায়ুতন্ত্রের ভূমিকা রয়েছে।
এখন আসি সমস্যার কথায়। শারীরিক সমস্যার কারণে অনেক সময় মেয়েদের অর্গাজম নাও হতে পারে। তবে ইমোশনও একটা ফ্যাক্টর এখানে। কিছু সেক্স রিসার্চারদের মতে, এংজাইটি এবং ডিপ্রেশন সেক্সুয়াল রেসপন্স সাইকেলকে বাধাগ্রস্ত করে। ভয়, অপরাধবোধ, ডিস্ট্রেকশন, লস অফ কন্ট্রোল - এই বিষয়গুলোও অর্গাজমকে প্রভাবিত করতে পারে। Erectile Dysfunction জনিত কারণে ছেলেদের মতো মেয়েরাও মাঝে মাঝে পর্যাপ্ত ব্লাড ফ্লো মেনটেন করতে না পারায় অর্গাজম পাওয়া থেকে থেকে বঞ্চিত হয়।
ফিমেইল অর্গাজমিক ডিসওর্ডার: পর্যাপ্ত স্টিমিউলেশনের পরেও যদি অর্গাজম না হয় অথবা অর্গাজম হতে অনেক দেরী হয়, তখন এটাকে anorgasmia বলে। এই টার্মকে দুইভাগে ভাগ করা যায় - প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারি। প্রাইমারি এনোর্গ্যাজমিয়া বলতে বোঝায় যে জীবনে কখনোই অর্গাজম এক্সপেরিয়েন্স করেনি। এবং সেকেন্ডারি এনোর্গ্যাজমিয়া হলো যার আগে অর্গাজম হয়েছে কিন্তু এখন আর হয় না। ফিমেইল অর্গ্যাজমিক ডিসওর্ডার কিছু শারীরিক কারণে হয়ে থাকতে পারে, যেমন - গাইনিকোলজিক্যাল ইস্যুজ অথবা নির্দিষ্ট কিছু মেডিসিন নেয়ার কারণেও হতে পারে। তাছাড়াও এংজাইটি, ডিপ্রেশনের মতো সাইকোলজিক্যাল ইস্যুজও থাকতে পারে!
ট্রিটমেন্টস এন্ড থেরাপিস টু হেল্প উইমেন রিচ অর্গাজম: অর্গাজমের ক্ষেত্রে এই প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করতে ডাক্তার এবং সেক্স থেরাপিষ্টগন বিভিন্ন ধরণের থেরাপি ব্যবহার করে থাকেন। ডাইরেক্টেড মাস্টারবেশন, সেক্স এডুকেশন এবং বিহেভিয়ারাল থেরাপির মতো বিষয়গুলো ইনভেস্টিগেট করা যেতে পারে। ক্লিটোরাল স্টিমিউলেশন বাড়ানোর জন্য ভাইব্রেটর অথবা জি-স্পটে বেটার স্টিমিউলেশন প্রোভাইড করার জন্য ডিল্ডো ইউজ করা যেতে পারে।
ধন্যবাদ, অনেক কিছু জানতে পারলাম৷
ReplyDeleteঅসাধারণ
ReplyDeleteThank You.
Deleteoutstanding
ReplyDeleteধন্যবাদ অনেক কিছু জানলাম
ReplyDelete