স্বপ্নদোষ সম্পর্কে কিছু ভুল ধারণা
স্বপ্নদোষ ছেলে এবং মেয়ে উভয়ের জন্যই একটি স্বাভাবিক ঘটনা। স্বপ্নদোষে কিশোররা যৌনতা সম্পর্কিত চিন্তা করে যার ফলে তাদের রতিক্রিয়া হয়ে থাকে। যখন একজন কিশোরের মধ্যে এই যৌন তাড়না কাজ করে, সে ইজাকিউলেট করে এবং এটা সে কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না । সুতরাং এখানে লজ্জার কিছু নেই।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় স্বপ্ননদোষ হলো একটি নৈশ্য ঘটনা যেটা সাধারনত রাতে ঘুমের মধ্যে হয়ে থাকে।কোনো ছেলে যখন এধরনের স্বপ্ন দেখে, ঘুম থেকে জেগে উঠে সে তার জামা, বিছানা ভেজা দেখতে পায়।স্বপ্নদোষ সম্পর্কে অনেকগুলো প্রচলিত ভুল ধারনা রয়েছে যেটা তরুনদের বিভ্রান্ত করে এবং উদ্বিগ্নতার সৃষ্টি করতে পারে।
চলুন স্বপ্নদোষ সম্পর্কে প্রচলিত নয়টি ধারনা জেনে নেয়া যাক-
১. স্বপ্নদোষ শুক্রাণুর পরিমাণ কমিয়ে ফেলে।
কিছু মানুষ মনে করে যে স্বপ্নদোষের ফলে পুরুষদের শুক্রানোর পরিমান হ্রাস পায়। বস্তুত, এটা শরীর থেকে পুরোনো শুক্রানোগুলোকে বের করে দিয়ে হেলতি স্পার্ম উৎপাদনে সাহায্য করে।
২.মেয়েদের স্বপ্নদোষ হতে পারে না।
অনেকে মনে করেন স্বপ্নদোষ পুরুষদের বিশেষ করে কিশোরদের হয়ে থাকে। বাস্তবিকপক্ষে মেয়েদেরও স্বপ্নদোষ হতে পারে। এর ফলে মেয়েদের অর্গাজম সহ কিছু ভ্যানাইনাল সিক্রেশন হয়ে থাকে।
৩. স্বপ্নদোষ রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
অনেকে মনে করেন স্বপ্নদোষের ফলে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায় যার ফলে ঠান্ডা অথবা ইনফেকশনের মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এটা শুধুই একটা প্রচলিত ধারনা যার কোনো ভিত্তি নেই। পকৃতপক্ষে স্বপ্নদোষ শুক্রাশয়ে থাকা অতিরিক্ত শুক্রাণু গুলোকে বের করে দেয় যা পুরুষদের জজনতন্ত্রের জন্য একটি হেলতি ফাংশন।
৪.স্বপ্নদোষ শুধু বয়ঃসন্ধিকালেই হয়ে থাকে।
হরমোনাল পরিবর্তনের কারনে স্বপ্নদোষ বয়ঃসন্ধিকালেই বেশির ভাগ সময় দেখা যায়। তবে প্রাপ্তবয়স্ক হলেও এটা হতে পারে।
৫. স্বপ্নদোষ অসুস্থতার লক্ষণ।
অনেকেই বিশ্বাস করেন যে স্বপ্নদোষ অন্য কোনো অসুস্থতা বা মেডিকেল কন্ডিশনের জন্য হয়ে থাকে। এর কোনো ভিত্তি নেই। বস্তুত, এটি একটি স্বাভাবিক ঘটনা এবং এটি সুস্থ যৌনতার লক্ষণ।
৬. হস্তমৈথুন সম্ভবত স্বপ্নদোষ কমাতে পারে।
হস্তমৈথুনের ফলে যদিও একজন মানুষের স্বপ্নদোষ কিছুটা কমে তবে তার আর কখনোই স্বপ্নদোষ হবে না এই নিশ্চয়তা দেয় না।
৭. স্বপ্নদোষের ফলে পেনিস ছোটো হয়ে যায়।
কিছু মানুষ মনে করে যে স্বপ্নদোষ পেনিসকে সংকুচিত করে ফেলে। যাই হউক এর কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই।
৮. স্বপ্নদোষ না হওয়া একটি যৌন সমস্যা।
বয়ঃসন্ধিকালের সময়গুলোতে স্বপ্নদোষ বেশি হয়ে থাকে।তবে এটা যে সবারই হবে এমন নয়। মানে ব্যাপারটি সর্বজনীন নয়।কারো কারো এটা হয়, কারো কারো হয় না। বয়ঃসন্ধিকালে যদি আপনার স্বপ্নদোষ নাও হয়ে থাকে তার মানে এই না যে আপনি অসুস্থ অথবা আপনার পেনিসে কোনো সমস্যা আছে।
৯.স্বপ্নদোষ সবসময় কামোত্তেজনাপূর্ন হয়।
প্রায়ই স্বপ্নদোষ যৌনতা বা কামুক স্বপ্ন সম্পর্কিত হয়। যাই হউক এটা সব সময় না।
Comments
Post a Comment