হস্তমৈথুনের ভাল ও খারাপ দিকগুলো কি কি?
মাস্টারবেশন ব্যাপারটির সাথে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত। উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েদের মাঝে এর প্রবনতা বেশি দেখা গেলেও নারী- পুরুষ এমনকি কম বয়সী মেয়েদের মাঝেও মাস্টারবেশনের প্রবনতা থাকে।মাস্টারবেশনের প্রসঙ্গে নানান রকমের কু-সংস্কার ও ভুল ধারণা রয়েছে। অনেকেই মনে করেন হস্তমৈথুন এর অপকারিতাই বেশি। আবার কেউ কেউ মনে করেন Masturbation এর কিছু উপকারিতাও আছে। তবে মূল বিষয়টি হচ্ছে, Masturbation তখনই স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ যখন আপনি Addicted হন এবং নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারান। তাহলে দৈনিক কতবার Masturbate করা যেতে পারে? চিকিৎসা বিজ্ঞান কি বলে? এতে কি যৌন আকাঙ্খা হ্রাস পেতে পারে? হস্তমৈথুন করলে যৌনক্ষতা হ্রাস পায়?
এছাড়াও সকলের একটি প্রশ্ন সব সময় অজানা থাকে। তা হলো Masturbation এর উপকারিতা কি এবং অপকারিতা কি? আজকে আমরা কথা বলবো সেসব প্রশ্নের সঠিক উত্তর নিয়ে।
প্রথমে জেনে নেওয়া যাক- Masturbation কি?
সাধারনত তাৎক্ষনিকভাবে উত্তেজনা প্রশমন করে। অনেক সময় যৌনচিন্তা, পর্ণ ছবি এবং ভিডিও দর্শনের ফলে যৌন উত্তজনা সৃষ্টি হয়। তখন মানুষ Self- Pleasure এর জন্য Masturbate করে থাকে।
বিশেষ করে Wet Dream বা স্বপ্নদোষ পুর্নাঙ্গ রুপ নেয়ার আগে যদি ঘুম ভেঙে যায় এবং Sexual Imagination এর ফলে যদি অতিরিক্ত Excitement দেখা দেয় তবে তাৎক্ষনিকভাবে Masturbate করাই শ্রেয়। নয়তো সাময়িক তলপেটে ব্যাথা সহ শারিরিক বা মানসিক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে।
আর Sexual Violence এ না জড়িয়ে Masturbate করাই উত্তম। Masturbation is not a crime at all.
মাস্টারবেশনের কি কি উপকারিতা আছে?
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, Masturbation শারিরিক বা মানসিক কোন ক্ষতিসাধন করে না। তবে মনে রাখতে হবে Excess of everything is bad.
১. Masturbation একটা healthy sexual activity. Pleasure এর পাশাপাশি এটা নিজের Desire Explore করতে, Mood Boost করতে, Built-up Sexual Tension Release করতে খুবই কাজে দেয়। এধরণের sexual stimulation Better Intercourse এবং Sound Sleep এর ক্ষেত্রেও সহায়ক হয়।
২. Self-pleasuring প্রেগন্যান্সি এবং sexually transmitted infections (STIs) রোধ করতে সহায়ক
৩. যারা নিয়মিত Masturbate করেন, তাদের Prostate Cancer হওয়ার চান্স ২০% কম থাকে।
মাস্টারবেশন কি যৌন sexual sensitivity বা যৌন আকাঙ্খা কমায়?
উত্তর হচ্ছে, না। বরং যেসব মেয়েদের sexual dysfunction আছে, masturbation তাদের sexual desire এবং sensitivity বাড়াতে সহায়ক। এমনকি ২০০৯ এর দুটো স্টাডি বলছে masturbation নারী-পুরুষ উভয়ের Desire এবং Sexual Function increase করে। এটা মেয়েদের Women lubrication এবং ছেলেদের erectile function বাড়াতে সহায়ক।
মাস্টারবেট করার পর সাময়িক সময়ের জন্য নিজেকে শারীরিকভাবে দুর্বল মনে হতে পারে। একটু রেস্ট নিলে কিংবা ছোট একটা ঘুম দিয়ে উঠলেই ঠিক হয়ে যাবে। ছেলেদের Masturbate করার ভুল কৌশলের কারণে যৌন সংবেদনশীলতা প্রভাবিত হতে পারে। Sexual health experts দের মতে শুধুমাত্র Masturbate করার কৌশল পরিবর্তন করতে পারলেই যৌন সংবেদনশীলতা পুনরায় বাড়ানো সম্ভব।
মাস্টারবেশন কি ক্ষতিকর? এর ফ্রিকুয়েন্সি কেমন হওয়া উচিৎ?
মাস্টারবেশন কিশোর-কিশোরী থেকে বয়স্ক মানুষ সবাই কমবেশি করেন। এমনকি শিশুরাও মাস্টারবেট করে। আমরা ভাবি যে, পুরুষরাই শুধু মাস্টারবেট করে, কিন্তু সঠিক তথ্য হচ্ছে মেয়েরাও মাস্টারবেট করে।
২০০৭ সালে যুক্তরাজ্যের মানুষের মাঝে করা একটা জরিপে দেখা যায় ১৬ থেকে ৪৪ বছরের মধ্যে ৯৫% পুরুষ ও ৭১% নারী তাঁদের জীবনের যে-কোনো সময়ে অন্তত একবার Masturbate করেছেন।
কিশোররা সপ্তাহে ৩/৪ বার, প্রাপ্ত বয়স্করা সপ্তাহে ১/২ বার, এমনকি বিবাহিতরা মাসে ১/২ বার মাস্টারবেট করে। এরচেয়ে বেশী করলেও সেটি অস্বাভাবিক নয়। এটি তখনই অস্বাভাবিক যখন মানুষের সেক্সুয়াল এবং সামাজিক সম্পর্কে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। যদি একটি কারো সম্পর্কের জন্য পীড়াদায়ক হয়, বা তার কর্মজীবনের জন্য বাধা দেয়।
যদি মাস্টারবেশনের কারণে কেউ শিক্ষা, পড়াশোনা, চাকরী, এসব ক্ষেত্রে ঠিকমতো কাজ করতে না পারে তাহলেই শুধুমাত্র মাস্টারবেশন ক্ষতিকর। এককথায় যদি আপনি নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পারেন অর্থাৎ Addicted হয়ে যান এবং এরফলে দৈনন্দিন জীবনে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়, Relationship এ প্রভাব ফেলে- Masturbation কেবল তখনই আপনার জন্য ক্ষতিকর।
মাস্টারবেশনের Addition থেকে বের হবেন কিভাবে?
যদি আপনি Addicted হন এবং দুশ্চিন্তায় ভোগেন, সংকোচ ঝেড়ে ফেলে আপনার উচিত হবে ডাক্তার কিংবা কাউন্সেলরের সাথে যোগাযোগ করা। Talk Therapy Addition Management এর ক্ষেত্রে বেশ Helpful. এছাড়া ধর্মীয় অনুশাসন ও সামাজিক মূল্যবোধ এবং রক্ষণশীল পরিবারে বেড়ে ওঠার কারণে অনেকের মধ্যে অপরাধবোধ কাজ করে। আপনারা চাইলে Masturbation এর Urge কে - অন্যকিছু দিয়ে রিপ্লেস করতে পারেন like- বন্ধুদের সাথে বেশি টাইম স্পেন্ড করা, শখের কোন কাজ করা, ড্রয়িং বা লেখালেখি অথবা Long Drive এ যাওয়া। এছাড়া মেডিটেশন এবং প্রার্থনাও সহায়ক হতে পারে।
Comments
Post a Comment