নরমাল ডেলিভারিতে কখন সাইড কাটার (ইপিসিওটমির) দরকার হয়?
নরমাল ডেলিভারির সময় যদি মায়ের যোনিপথের স্পেসের চেয়ে বাচ্চার মাথা বড় হয় তখন জায়গা বাড়ানোর জন্য যোনিপথে একটু কাটাই হচ্ছে ইপিসিওটমি বা সাইড কাটা।
⭕ ইসিওটমি কখন ও কিভাবে করা হয়?
সবনরমাল ডেলিভারির সময় সাইড কাটা লাগে না। ডাক্তাররা যখন দেখেন বাচ্চার মাথা মায়ের যোনিপথের স্পেসের চেয়ে বড় আর সাইড না কেটে ডেলিভারী করালে চারপাশ ছিড়ে ক্ষতবিক্ষত হয়ে ফিস্টুলা তৈরি হতে পারে- ঠিক তখনি একটু সাইড কেটে জায়গাটা বড় করে দেন যাতে বাচ্চা সহজে বেরিয়ে আসতে পারে৷ তাছাড়া এ অবস্থায় বিলম্ব হলে অক্সিজেন স্বল্পতার কারণে বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে।
⭕ সাইড কাটার পরে কি সেলাই করা হয় নাকি এমনিতেই ভালো হয়ে যায়??
সন্তান প্রসবের পরপরই এই সাইডটা এতো সুন্দর করে সেলাই দেওয়া হয়, দেড়মাস বা ৪৫ দিন পর মা খুঁজেও পাবেনা কোথায় সাইড কাটা হয়েছিল। তাই এটা নিয়ে ভয়ের কিছুই নেই ৷
⭕ সাইড কাটলে পরবর্তী করণীয় কি??
কাটা যায়গা সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও শুকনা রাখতে হবে।মা বেশিবেশি লেবু খাবে, ভিটামিন জাতীয় খাবার খাবে,পানি বেশিবেশি খাবে যেন পায়খানা ক্লিয়ার হয়। কারণ এসময় কন্সস্টিপেশন হলে সেলাই খুলে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে।
⭕ সাইড কাটার দাগ কি থেকে যায়?
অনেকেই মনে করে সাইড কাটলে কাটার দাগ থেকে যায়, যৌন সম্পর্ক করতে সমস্যা হয়। কিন্তু না। কাজ করতে গিয়ে হাতের কোথাও একটু কেটে গেলে যেমন দাগ থাকেনা ঠিক তেমন এটারো কোন দাগ থাকেনা। আর সহবাস করতেও কোন সমস্যা হয়না।
⭕ সাইড কাটার চেয়ে কি সিজার করা ভাল?
অনেকে বলে থাকেন, সাইড কাটার চেয়ে সিজার ভাল। এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। কেননা, সিজার মানে পেট এর এপাশ- ওপাশ কেটে ফেলা। সেটার ভোগান্তি সারাজীবন ভুগতে হয়। সাইড কাটা এতোটাই সামান্য ব্যাপার যে পরে আর সেই কাটা বা কাটার দাগ বা সেলাইয়ের দাগ কিছুই খুঁজে পাওয়া যায় না। শুধু তাই নয়, পরবর্তীতে প্রসাব-পায়খানা বা স্বামীর সাথে মেলামেশা সহ যে কোন কাজে এই সাইড কাটা নিয়ে কোন ধরনের অস্বস্তিতে পড়তে হয় না।
⭕ অনেকই বলে আগে তো ডেলিভারির সময় মানুষ সাইড কাটতো না তাহলে এখন কেন কাটতে হবে??
আসলে আগের মানুষ ঘরে অশিক্ষিত, অদক্ষ দাই দিয়ে ডেলিনারি করাতো আর তারা জানতোনা কিভাবে সাইড কাটতে হয় কখন কাটতে হয়,আর কিভাবে সেলাই দিতে হয়। আর তাদের এই না জানার জন্যই ডেলিভারির সময় এবড়োথেবড়ো হয়ে ছিরে যেত যার ফলে পরবর্তীতে মায়ের প্রসাব,পায়খানা সহ নানা রকমের সমস্যা দেখা দিত। আর ডেলিভারির পরে মায়ের অনেক বেশি রক্তক্ষরণ হতো যার ফলে অনেক মা ডেলিভারির পরেই মারা যেত।
Comments
Post a Comment