Posts

ফিমেল অর্গাজম সম্পর্কে ৭টি তথ্য- যা আপনার অবশ্যই জানা উচিত।

Image
আজ আমরা কথা বলতে যাচ্ছি অর্গাজম সম্পর্কে। স্পেশালি, ফিমেল অর্গাজম। কারণ? ফিমেল অর্গাজম সম্পর্কে অনেক কিছুই জানার জরুরি- যা আপনি সম্ভবত জানেন না। আবার এমনটা হওয়াও স্বাভাবিক যে আপনি ভুল জানেন। অর্গাজম সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানলে আপনার যৌনজীবন আরও আনন্দদায়ক বাধ্য। চলুন শুরু করি! ১) অর্গাজম ব্যথা উপশম করতে পারে। লস অ্যাঞ্জেলেসে প্ল্যানড প্যারেন্টহুডের সাথে কাজ করা নার্সের অনুশীলনকারী লিসা স্টার্ন নারীর দিবসে বলেন, "এমন কিছু প্রমাণ রয়েছে যে অর্গাজম বাত সহ সবধরণের ব্যথা, অস্ত্রোপচারের পরের ব্যথা, এমনকি প্রসবের সময়কার ব্যথাও উপশমেও কার্যকরী। " এটি মূলত অর্গাজম চলাকালীন দেহে অক্সিটোসিন নিঃসরণের কারণে। যদিও ব্যথা উপশম প্রায়শই স্বল্পকালীন হয়, প্রায় ৮ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে, তবে স্টার্ন বলেন অতীত গবেষণা ইঙ্গিত দেয় যে শুধুমাত্র যৌনতা সম্পর্কে চিন্তাভাবনাও ব্যথা উপশম করতে সহায়তা করে। ২) অর্গাজমে পৌঁছানো সহজ নয়। ২০১৮ সালের একটি সমীক্ষা অনুসারে, ১০ থেকে ৪০% মহিলার অর্গাজমে পৌঁছতে অসুবিধা হয়। বলা হয়েছে অক্ষমতার কথাও। কোনও ব্যক্তি কেনো অর্গাজমে পৌঁছাতে সক্ষম হচ্ছেনা, তার পেছনের সঠিক

আপনি কীভাবে ক্ল্যামিডিয়ায় আক্রান্ত হতে পারেন? (STDs)

Image
CHLAMYDIA (ক্ল্যামিডিয়া) ব্যাকটিরিয়া সংক্রমণের কারণে সৃষ্ট একটি খুব সাধারণ যৌন সংক্রামক রোগ ক্ল্যামিডিয়া। প্রায়শই এই রোগের লক্ষণ থাকে না, তবে সনাক্তকরণের পরে চিকিৎসা করা সহজ। ক্ল্যামিডিয়া কী? ক্ল্যামিডিয়া একটি ব্যাকটিরিয়াজনিত সংক্রমণ রোগ যা সহজেই অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের মাধ্যমে নিরাময় করা সম্ভব। এটি যৌন সংক্রামক রোগগুলোর মধ্যে অতি সাধারণ এবং ক্ল্যামিডিয়া আক্রান্ত বেশিরভাগ লোকেরই কোন লক্ষণ দেখা যায় না। ক্ল্যামিডিয়া কি সত্যই সাধারণ রোগ? হ্যা, ক্ল্যামিডিয়া একটি অতি সাধারণ ব্যাকটিরিয়া সংক্রমণ রোগ আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে যৌন মিলনের মাধ্যমে সংক্রমিত হতে পারে। প্রায় ৩ মিলিয়ন আমেরিকান প্রতি বছর এ রোগে আক্রান্ত হয়, সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয় ১৪-২৪ বছর বয়সী যুবক যুবতীরা। ক্ল্যামিডিয়া যোনি, পায়ুপথ এবং ওরাল সেক্সের মাধ্যমে ছড়াতে পারে। সংক্রমণটি বীর্য (কাম/cum), প্রাক-কাম(cum) এবং যোনি ফ্লুইড দ্বারা বাহিত হয়। ক্ল্যামিডিয়া লিঙ্গ, যোনি, জরায়ু, মলদ্বার, মূত্রনালী, চোখ এবং গলাকে সংক্রামিত করতে পারে। ক্ল্যামিডিয়ায় আক্রান্ত বেশিরভাগ লোকের কোনও লক্ষণ নেই এবং তারা সম্পূর্ণরূপে সুস্থ

কীভাবে সন্তানের (৫-৮ বছর বয়সী) সাথে শরীর ও শরীরের গোপনীয়তার বিষয়ে কথা বলবেন?

Image
প্রাইমারী স্কুল পড়ুয়া অর্থাৎ ৫-৮ বছর বয়সী এই শিশুদেরকে তাদের যে কোন প্রশ্নের সঠিক এবং বয়সের উপযোগী উত্তর দেয়া প্রয়োজন। আজ আপনি আপনার সন্তানকে কতটুকু সঠিক ইনফরমেশন দিচ্ছেন, তার উপর নির্ভর করছে ভবিষ্যতে সে অন্যদের সাথে কতটুকু সুস্থ্য ও সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তুলতে সমর্থ হবে। শিশুদের মনে আপনার প্রতি আস্থা গড়ে তুলতে হবে এবং তাদের বোঝাতে হবে যে তারা আপনার কাছে যে কোন বিষয়ে সাহায্য চাইতে পারে এবং তার জন্যে তারা আপনার কাছ থেকে কোন শাস্তি বা তিরস্কার সম্মুখীন হবে না। এতে করে ভবিষ্যতে আরো গুরুতর বিষয় গুলো নিয়ে তারা আপনার সঙ্গে সহজেই কথা বলতে পারবে। জটিল মনে হচ্ছে? যতটা জটিল ভাবছেন আসলে ততোটা জটিল নয়। কথোপকথন যথাসম্ভব সংক্ষিপ্ত রাখার চেষ্টা করুন এবং দৈনন্দিন জীবনের কোন কোন মুহূর্তগুলোকে সন্তানের জন্য শিক্ষণীয় করে তোলা যায় সেই দিকে লক্ষ্য রাখুন। প্রাইমারি স্কুল/ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শরীর সম্পর্কে কী কী শিখানো উচিৎ ? শিশুরা নিজেদের এবং অন্যের শরীরের ব্যাপারে অনেক বেশি কৌতূহলী হয়ে থাকে। তাই শরীর সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দিলে শিশুরা নিজেদের সাথে সাথে অন্যদেরকেও বুঝতে, ভিন্নতাকে গ্রহণ করতে ও

রিলেশনশীপ (পার্ট-১): রোমান্টিক সম্পর্ককে কিভাবে সুস্থ্য ও সুন্দর রাখা যায়?

Image
     সুস্থ্য সম্পর্ক কারো সাথে রোম্যান্টিকভাবে অর্থাৎ আবেগ অনুভূতি দিয়ে যুক্ত থাকা সত্যি চমৎকার। কিন্তু একটি সুন্দর সম্পর্ক গড়ার পিছনে অনেকগুলো বিষয় ভূমিকা রাখে। সুন্দর সম্পর্ক গড়ার জন্য টিপস গুলো কি কি? কোনো সম্পর্কই সবসময় পারফেক্ট থাকেনা। কিন্তু একটি সুস্থ্য সম্পর্কে উভয়েই বেশিরভাগ সময়ই সুখী বোধ করে। একটি সুন্দর সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে আকর্ষণের থেকে চেষ্টা বেশি কাজ করে এবং দুজনেরই ইফোর্ট দেয়ার ইচ্ছা থাকতে হয়। সুস্থ সম্পর্ক গড়ার জন্য কিছু টিপসঃ ১. নিজেকে ভালোবাসা । নিজে যা- তা নিয়ে সাচ্ছন্দ্যে থাকা মানে তুমি বেশ সুখী একজন সঙ্গী হতে পারবে। ২. শেয়ার করা । তোমার পার্টনারের সাথে তোমার ফিলিংস নিয়ে কথা বলো। প্রশ্ন করো এবং সে কি বলে তা শুনো। যদি তুমি কোনো কারণে আপসেট থাকো, তাহলে তা তাকে বলে ফেলো, কি হয়েছে তা খুঁজে বের করতে না দিয়ে। সমস্যা নিয়ে কথা বলার মাধ্যমে বিশ্বাস স্থাপন করো। এতে সম্পর্ক র্স্ট্রং হয়। সমস্যা মোকাবিলায় এগুলোই সব না। তাকে জানাতে কখনো ভুলে যেও না তার কোন কাজগুলো তোমাকে আনন্দ দেয়, ভালো রাখে। ৩. সৎ থাকো । একজন আরেকজনের কাছে সত্যবাদী থাকো তুমি যা করো, যা ভাবো এবং যা অনুভব করো তা

আমরা কিভাবে সন্তানদের যৌন শিক্ষা দেওয়া শুরু করবো?

Image
"আমরা কিভাবে সন্তানদের যৌন শিক্ষা দেওয়া শুরু করবো? আর নিজেরা দিলে কী তারা অন্য ৮-১০টা বাচ্চার মতো আমাকে সম্মান করবে?" বাচ্চাদের যৌনশিক্ষা দিতে হলে সর্বপ্রথম নিজেকে কিছুটা ট্রেইনআপ করতে হবে। সঠিক বয়সে  সঠিক বিষয়টা জানাতে হবে। আপনি কিংবা বাচ্চা- সঙ্কোচবোধ করেন, এমন শব্দ পরিহার করাই ভাল। উপস্থাপনের জন্য সঠিক  শব্দচয়ন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপ- ৬বছর বয়সের আগেই আপনাকে বাচ্চাদের নামসহ শরীরের ব্যক্তিগত অংশের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে। এসময় বাচ্চারা কোন কিছুকে যৌনতার সাথে রিলেট করেনা। তাই তারা খুব স্বাভাবিকভাবেই শিখবে আর আপনাকে বিব্রত করবে না। এভাবে কোন বয়সে কতটুকু জানাতে হবে- সেটা জানা জরুরি। সেক্স এডুকেশনের ভিডিওগুলো দেখতে পারেন। আশা করি কিছুটা হলেও আপনাকে সাহায্য করতে পারবে। কোন অভিভাবক তার সন্তানদের যৌনশিক্ষা দিতে পারছে কিনা- এতে বোঝা যায় বাচ্চা ও অভিভাবকের সম্পর্কের সেতুবন্ধনটা আসলে কতটা বন্ধুসুলভ। বাচ্চারা অভিভাবকদের সবচেয়ে আপন মনে করে। তারা যখন বয়ঃসন্ধিতে বিভিন্ন সমস্যা ফেস করে, বাবামাকে পাশে পায় না- তখনই মূলত বাবামার সাথে তাদের দূরত্ব তৈরি হয়৷ নিজেকে গুটিয়ে নেয়। চারপা

পুরুষ ধর্ষণ ও বৈবাহিক ধর্ষণ বলে এখানে কিছু নেই।

Image
সম্মতি ছাড়া কোন ব্যক্তির মুখ, যোনী বা পায়ুপথে অনুপ্রবেশ করলে; হোক সেটা যোনাঙ্গ, অন্য কোন অঙ্গ কিংবা কোন বস্তুর মাধ্যমে- যত কম বা বেশিই হোক, সভ্য সমাজে সেটি ধর্ষণ বলে বিবেচিত হবে। অপরদিকে বাংলাদেশের আইনে ধর্ষণের সংজ্ঞা কী? ‘‘যদি কোন পুরুষ বিবাহ বন্ধন ব্যতীত ষোল বৎসরের অধিক বয়সের কোন নারীর সাথে তার সম্মতি ছাড়া বা ভীতি প্রদর্শন বা প্রতারণামূলকভাবে তার সম্মতি আদায় করে, অথবা ষোল বৎসরের কম বয়সের কোন নারীর সাথে তার সম্মতিসহ বা সম্মতি ব্যতিরেকে যৌন সঙ্গম করেন, তাহলে তিনি উক্ত নারীকে ধর্ষণ করেছেন বলে গণ্য হবেন।” মোটকথা পেনিস ছাড়া অন্যকিছু প্রবেশ করালে বাংলাদেশের আইন সেটাকে ধর্ষণ মনে করে না। পুরুষ ধর্ষণ ও বৈবাহিক ধর্ষণ বলে এখানে কিছু নেই। বিয়ের বয়স ১৬ করার মাধ্যমে বাল্যবিবাহ অর্থাৎ শিশু যৌন নিপীড়নকেও বৈধতা দেওয়া হয়েছে। ধর্ষকের সাথে ধর্ষণের শিকার নারীটির বিয়ের মত জঘন্য রীতি এখনো এখানে চালু আছে। ধর্ষক প্রভাবশালী হলে গ্রাম্য সালিশে অল্প কিছু টাকা দিয়ে মিটমাট করা সাধারণ ঘটনা। ক্ষমতা প্রদর্শন করে আইনের ফাঁক ফোকড় দিয়ে বেড়িয়ে যাওয়া ডালভাতের মত। এখানে ধর্ষণের শিকার হওয়ার সমস্ত দায় নারীর। কারণ জীবনের বি

কিভাবে বুঝবেন আপনার সঙ্গীর সম্মতি আছে বা নেই?

Image
আপনি কিভাবে বুঝবেন যে সম্মতি আছে? যখন কোন ব্যক্তি স্পষ্টভাবে হ্যাঁ বলবে - কোনরকম চাপের শিকার না হয়েই। সম্মতি প্রদানের কিছু উদাহরণ: প্রতিটি ব্যক্তি যৌনমিলনে সম্মত হওয়ার পরে উৎসাহের সাথে যৌন ক্রিয়ায় লিপ্ত হচ্ছে। কমিটেড রিলেশনশীপ এমনকি বৈবাহিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও যৌনতার প্রতিটি ধাপে অবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ রয়েছে। যৌন ক্রিয়ায় লিপ্ত হওয়ার ব্যাপারে কোনও ব্যক্তি "না" বলে কিংবা অনিশ্চয়তায় ভোগে- থাকে তখন তার মতামতকে সম্মান জানানো। ব্যক্তি সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম (নেশাগ্রস্ত বা মেন্টালি ডিজেবল নয়) এবং জোর করে আদায় করা হচ্ছে না। সম্মতি প্রদান হতে হবে নির্দ্বিধায় এবং সুস্পষ্টভাবে। "না" এর অনুপস্থিতির অর্থ "হ্যাঁ" নয়। "সম্ভবত" বলা, নীরবতা বা প্রতিক্রিয়া না জানানো মানেই সম্মতি দেওয়া না। কিভাবে বুঝবেন আপনার সঙ্গীর সম্মতি নেই? যখন- ঘুমোচ্ছে বা অচেতন। কাউকে বাধ্য করার জন্য আপনি হুমকি দেন বা ভয় দেখান তারা ড্রাগ বা অ্যালকোহল দ্বারা অপ্রকৃতস্থ আপনি কর্তৃত্ব বা বিশ্বাসের অবস্থান যেমন কোনও শিক্ষক বা নিয়োগকারী হিসেবে জোর করেন। সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করলে

সম্মতি কি? সম্মতি কয় ধরণের? যৌনতার ব্যাপারে সম্মতির গুরুত্ব কতটুকু?

Image
যৌন সম্মতি যৌন ক্রিয়াকলাপে অংশ নেওয়ার একটি চুক্তি। কারও সাথে যৌনমিলনের আগে, আপনার জেনে নিতে হবে যে সেও আপনার সাথে যৌন সম্পর্ক করতে চায় কিনা! আপনি কী চান এবং কী চান না সে সম্পর্কে আপনার সঙ্গীর সাথে সৎ হওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। সম্মতি জানানো এবং সম্মতি চাওয়ার অর্থ হল আপনার ব্যক্তিগত সীমানা নির্ধারণ এবং আপনার পার্টনারের মতামতকে সম্মান করা। তাছাড়া তৃতীয় কোন ব্যক্তির প্রভাব আছে কিনা তা পরীক্ষা করা। উভয় ব্যক্তিকে অবশ্যই যৌনতার সাথে একমত হতে হবে এবং সেটা সবসময়। যৌন সম্মতি কেমন হওয়া উচিত? ১) সুস্পষ্ট হতে হবে। সম্মতি হতে হবে স্পষ্ট এবং দ্ব্যর্থহীন। আপনার পার্টনার কি উৎসাহের সাথে যৌন ক্রিয়ায় লিপ্ত হয়? তারা কি প্রতিটি যৌন ক্রিয়াকলাপের জন্য মৌখিক অনুমতি দিয়েছে? যদি দিয়ে থাকে- তাহলে স্পষ্ট সম্মতি আছে। নীরবতা কখনোই সম্মতির লক্ষণ নয়। এটা একটু ভুল ধারণা। কখনও ধরে নিবেননা যে আপনার পার্টনারের সম্মতি আছে - প্রত্যেকবার জিজ্ঞাসা করতে হবে। ২) মত পরিবর্তন হতে পারে। সেক্সুয়্যাল ইন্টারকোর্সের প্রতিটি পর্যায়ে আপনার পার্টনারের অনুমতি আছে কিনা খেয়াল রাখুন । এটাও লক্ষ করা গুরুত্বপূর্ণ যে সম্মতি যে কোনও